বিসমিল্লাহ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম…

এই ব্লগের আপডেট এখন বন্ধ আছে। নতুন পোস্টগুলো দেখতে নিচের লিংক ভিজিট করুন –

https://thealmahmud.blogspot.com/

Android App: Unicode – Bijoy Converter ইউনিকোড বিজয় কনভার্টার apk

বিজয় থেকে ইউনিকোড অথবা ইউনিকোড থেকে বিজয় কনভার্ট করতে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি খুব কাজে লাগবে। স্ক্রিপ্ট এর ক্ষেত্রে বাংলা কনভার্টার ডট কম এর ফর্মুলা ব্যাবহার হয়েছে।
.
## মোবাইল ফোনে যেহেতু Sutonny MJ বা কোনো আন্সি ফন্ট সাপোর্ট করে না এজন্য বিজয় এর ঘরে JdggGtsj gsGysbGgBsh এরকম আবোলতাবোল ইংরেজি দেখা যাবে, কিন্তু কপি করে WPS Office কিংবা পিসিতে দেখতে গেলে একদম ঠিকঠাক আসবে। ইনশাআল্লাহ
!
.
## টেক্সট বক্স দুইটা ইচ্ছামত ছোট বড় করা যাবে। এজন্য টেক্সট বক্সের নিচে-ডানকোনায় ট্যাপ করে নিচে-ওপরে ডানে-বামে করতে হবে।
.
.
নামঃ Unicode_to_Bijoy_to_Unicode.apk
সাইজঃ ৩৩৩ kb
ডাউনলোড লিংকঃ-


Download Now

কোনো পরামর্শ থাকলে কিংবা সমস্যা দৃষ্টিগোচর হলে জানাবেন, এখানে কমেন্ট জানাতে পারেন অথবা আমাকে ফেসবুকে বলতে পারেন।

আর ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন..

Android App: সাহাবায়ে কিরাম বনাম আহলে হাদিস

ইসলামের আবির্ভাবের পর থেকে যত গোমরাহ পথভ্রষ্ট ফিরকাহ এসেছে তারা প্রত্যেকেই সাহাবায়ে কিরামের ব্যাপারে বাতিল চিন্তাধারা পোষণ করতো। কেউ সাহাবাদের উদ্ধৃতি শুনলেই অস্বস্তিতে ভুগে, কেউবা সাহাবাদের যাচ্ছেতাই গালিগালাজ করে, কেউ কেউ তাদের তাকফিরের দুঃসাহস পর্যন্ত দেখায়।

এই সময়ের ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত একটি গোষ্ঠী হচ্ছে আহলে হাদীস। ঈসায়ী উনিশ শতকে আবির্ভূত এই দলটির প্রথম সারির নেতারা সাহাবায়ে কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন সম্বন্ধে কেমন ধারণা পোষণ করে সে সম্পর্কে ব্যাপক তথ্যবহুল আলোচনা করা হয়েছে অ্যাপটিতে। উদ্ধৃত পুস্তক সমূহ থেকে স্ক্রিনশট সহ দেখতে চাইলে, এবং কোনো তথ্য সম্পর্কে লেখকের আলোচনা করতে চাইলে অ্যাপ এর শেষে দেয়া “বিস্তারিত তথ্যসূত্র” মেনুটি অনুসরণ করতে হবে।
.
তাহলে Android
ইউজাররা অ্যাপটি ডাউনলোড করে এখনি ইন্সটল করে নিন।
.
নামঃ সাহাবায়ে_কিরাম_বনাম_আহলে_হাদীস.apk
সাইজঃ ৯৩০ kb
ডাউনলোড লিংকঃ-


Download Now

অ্যাপ সংক্রান্ত কোনো পরামর্শ থাকলে কিংবা সমস্যা দৃষ্টিগোচর হলে অনুগ্রহ করে ডেভেলপারকে জানাবেন, অ্যাপ এর About মেনুতে যোগাযোগের লিংক পাবেন।

আর অতি অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না..

আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হয়, আমীন…

Android App: পর্দা (hijab)

অনেক চমৎকার একটি অ্যান্ড্রুয়েড অ্যাপ্লিকেশন, আশা করছি অনেক ভাই-বোনদের উপকারে আসবে।
বিশেষত দ্বীনদার বোনদের এটি কাজে লাগতে পারে।

এটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে পর্দা সংক্রান্ত বাংলায় ২২ টি পূর্ণাঙ্গ ফাতাওয়া।
কুরআন-সুন্নাহ’র দৃষ্টিতে পর্দার হুকুম, সহশিক্ষা, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট ব্যবহারের হুকুম, স্টাইলিশ কোর্ট-কাটিং বোরকা পরিধানের হুকুম, দ্বীনী শিক্ষার জন্য নারীদের সফরের হুকুম সহ অনেক প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ফাতাওয়া। Android
ইউজাররা এখন-ই App টি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন।
.
নামঃ পর্দা.apk
সাইজঃ ৯৪৫ kb
ডাউনলোড লিংকঃ-


Download Now

কোনো পরামর্শ থাকলে কিংবা সমস্যা দৃষ্টিগোচর হলে ডেভেলপার এর সাথে যোগাযোগ করবেন, অ্যাপ এর About মেনুতে যোগাযোগের লিংক পাবেন।

আর অতি অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না..

শাহ নেয়ামাতুল্লাহ ওয়ালী (রহঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী

খোদা প্রদত্ত ইলহাম এর জ্ঞান দ্বারা আজ থেকে প্রায় সাড়ে আটশত বছর পুর্বে ( হিজরী ৫৪৮ সাল মোতাবেক ১১৫২ সালে খ্রিস্টাব্দে) শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহঃ তার বিখ্যাত কাব্যগুলো রচনা করেন। অনেক ওলী আউলিয়া মাশায়েখগণ মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ইলহাম পেয়ে থাকেন। উপমহাদেশের ইলমী জনক শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ তার ইলহামী ইলম দিয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ সাওয়াতিউল ইলহাম রচনা করেন, অনুরুপ হযরত শাহ্ নেয়ামতউল্লাহ রহঃ ছিলেন একজন ওলী আল্লাহ। উনি সেই ইলমে লাদুনীর কিছু অংশ এই কবিতায় প্রকাশ করেছেন যা কবিতার শেষ পংক্তি থেকে বুঝা যাচ্ছে।

এটি লিখার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিটি ভবিষ্যদ্বানী হুবহু মিলে গিয়েছে। ব্রিটিশ বড় লাট লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫) এর প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

আমাদের দুর্ভাগ্যই বলা চলে! পাকিস্তানি মুসলিম ভাইদের মাঝে কাসীদাগুলো বেশ পরিচিত, প্রসিদ্ধ এবং সমাদৃত অথচ বাংলাদেশে এ সম্পর্কে আমাদের কোনো খোজই নেই।

কাসীদায়ে শাহ নেয়ামাতুল্লাহ সম্পর্কে আরো জানতে মাওলানা ওবায়দুর রহমান খান নদভী দাঃবাঃ এর এই লেখাটি পড়া যেতে পারেঃ http://www.google.com.bd/search?q=cache:www.dailyinqilab.com/2015/01/02/229804.php

শাহ নেয়ামতুল্লাহ ওয়ালী রহঃ থেকে আমাদের পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ইলহামী কাসীদা তথা কাব্য বর্নিত হয়েছে, এর মাঝে আলহামদুলিল্লাহ আমি ৩টি পড়েছি। সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ফার্সি সংকলনটির পিডিএফ ডাউনলোড লিংকঃ http://upfile.mobi/950388

বাংলা ভাষায় রুহুল আমীন খান অনূদিত শাহ নিয়ামতুল্লাহ রহঃ এর একটি কবিতা ১৯৭০/৭১ এর দিকে এদেশে প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতাটিতে ৫৪টি প্যারা রয়েছে। কোনো এক ভাই সেটি অনলাইনে সংকলন করেছেন, নিম্নে তা দেয়া হলঃ
—–

(১)
পশ্চাতে রেখে এই ভারতের অতীত কাহিনী যত
আগামী দিনের সংবাদ কিছু বলে যাই অবিরত

টীকা: ভারত= ভারতীয় উপমহাদেশ

(২)
দ্বিতীয় দাওরে হুকুমত হবে তুর্কী মুঘলদের
কিন্তু শাসন হইবে তাদের অবিচার যুলুমের

টীকাঃ দ্বিতীয় দাওর= ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের দ্বিতীয় অধ্যায়। শাহবুদ্দীন মুহম্মদ ঘোরি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আমল (১১৭৫ সাল) থেকে সুলতান ইব্রাহীম লোদীর শাসনকাল (১৫২৬ সাল) পর্যন্ত প্রথম দাওর। এবং সম্রাট বাবর শাসনকাল (১৫২৬ সাল) থেকে ভারতে মুসলিম দ্বিতীয় দাওর।

(৩)
ভোগে ও বিলাসে আমোদে-প্রমোদে মত্ত থাকিবে তারা
হারিয়ে ফেলিবে স্বকীয় মহিমা তুর্কী স্বভাব ধারা

টীকা: মুঘল শাসকদের অনেকই আল্লাহ ওয়ালা ছিলেন। তবে কেউ কেউ প্রকৃত ইসলামী আইনকানুন ও শরীয়তি আমল থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। আর হাদীস শরীফেই আছে: যখন মুসলমানরা ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবে, তখন তার উপর গজব স্বরূপ বহিশত্রুকে চাপিয়ে দেয়া হবে।

(৪)
তাদের হারায়ে ভিন দেশী হবে শাসন দণ্ডধারী
জাকিয়া বসিবে, নিজ নামে তারা মুদ্রা করিবে জারি

টীকাঃ ভিন দেশী= ইংরেজদের বোঝানো হয়েছে

(৫)
এরপর হবে রাশিয়া-জাপানে ঘোরতর এক রণ
রুশকে হারিয়ে এ রণে বিজয়ী হইবে জাপানীগণ

(৬)
শেষে দেশ-সীমা নিবে ঠিক করে মিলিয়া উভয় দল
চুক্তিও হবে, কিন্তু তাদের অন্তরে রবে ছল

টীকা: বিশ শতকের প্রারম্ভে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জাপান কোরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে পীত সাগর, পোট অব আর্থার ও ভলডিভস্টকে অবস্থানরাত রুশ নৌবহরগুলো আটক করার মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ শুরু হয়। অবশেষে রাশিয়া জাপানের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।

(৭)
ভারতে তখন দেখা দিবে প্লেগ আকালিক দুর্যোগ
মারা যাবে তাতে বহু মুসলিম হবে মহাদুর্ভোগ

টীকা: ১৮৯৮-১৯০৮ সাল পর্যন্ত ভারতে মহামারী আকারে প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এতে প্রায় ৫ লক্ষ লোকের জীবনাবসান হয়। ১৭৭০ সালে ভারতে মহাদুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। বংগ প্রদেশে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ থেকে উদ্ভুত মহামারিতে এ প্রদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রাণ হারায়।

(৮)
এরপর পরই ভয়াবহ এক ভূকম্পনের ফলে
জাপানের এক তৃতীয় অংশ যাবে হায় রসাতলে

টীকা: ১৯৪৪ সালে জাপানের টোকিও এবং ইয়াকুহামায় প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।

(৯)
পশ্চিমে চার সালব্যাপী ঘোরতর মহারণ
প্রতারণা বলে হারাবে এ রণে জীমকে আলিফগণ

টীকা: ১৯১৪-১৯১৮ সাল পর্যন্ত চার বছরাধিকাল ধরে ইউরোপে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়।
জীম= জার্মানি, আলিফ=ইংল্যান্ড।

(১০)
এ সমর হবে বহু দেশ জুড়ে অতীব ভয়ঙ্কর
নিহত হইবে এতে এক কোটি ত্রিশ লাখ নারী-নর

টীকা: ব্রিটিশ সরকারের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ি প্রথম মহাযুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ লোক মারা যায়।

(১১)
অতঃপর হবে রণ বন্ধের চুক্তি উভয় দেশে
কিন্তু তা হবে ক্ষণভঙ্গুর টিকিবে না অবশেষে

টীকা: ১৯১৯ সালে প্যারিসের ভার্সাই প্রাসাদে প্রথম মহাযুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে ‘ভার্সাই সন্ধি’ হয়, কিন্তু তা টিকেনি।

(১২)
নিরবে চলিবে মহাসমরের প্রস্তুতি বেশুমার
‘জীম’ ও আলিফে খ- লড়াই ঘটিবে বারংবার

(১৩)
চীন ও জাপানে দু’দেশ যখন লিপ্ত থাকিবে রণে
নাসারা তখন রণ প্রস্তুতি চালাবে সঙ্গোপনে

টীকা: নাসারা মানে খ্রিষ্টান

(১৪)
প্রথম মহাসমরের শেষে একুশ বছর পর
শুরু হবে ফের আরো ভয়াবহ দ্বিতীয় সমর

টীকা: ১ম মহাযুদ্ধ সমাপ্তি হয় ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর, এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে সূচনা হয় ১৯৩৯ সালে ৩রা সেপ্টেম্বর। দুই যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময় প্রায় ২১ বছর।

(১৫)
হিন্দ বাসী এই সমরে যদিও সহায়তা দিয়ে যাবে
তার থেকে তারা প্রার্থিত কোন সুফল নাহিকো পাবে

টীকা: ভারতীয়রা ব্রিটিশ সরকারের প্রদত্ত যে সকল আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে তাদের সহায়তা করেছিল, যুদ্ধের পর তা বাস্তবায়ন করেনি।

(১৬)
বিজ্ঞানীগণ এ লড়াইকালে অতিশয় আধুনিক
করিবে তৈয়ার অতি ভয়াবহ হাতিয়ার আনবিক

টীকা: মূল কবিতায় ব্যবহৃত শব্দটি হচ্ছে ‘আলোতে বকর’ যার শাব্দিক অর্থ বিদ্যুৎ অস্ত্র, অনুবাদক বিদ্যুৎ অস্ত্রের পরিবর্তে ‘আনবিক অস্ত্র তরজমা করেছেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে আমেরিকা হিরোসিমা-নাগাসাকিতে আনবিক বোমা নিক্ষেপ করে। এতে লাখ লাখ বেসামরিক লোক নিহত হয়। কবিতায় বিদ্যুৎ অস্ত্র বলতে মূলত আনবিক অস্ত্রই বুঝানো হয়েছে।

(১৭)
গায়েবী ধনির যন্ত্র বানাবে নিকটে আসিবে দূর
প্রাচ্যে বসেও শুনিতে পাইবে প্রতীচীর গান-সুর

টীকা: গায়েবী ধনীর যন্ত্র রেডিও-টিভি

(১৮)
মিলিত হইয়া ‘প্রথম আলিফ’ ‘দ্বিতীয় আলিফ’ দ্বয়
গড়িয়া তুলিবে রুশ-চীন সাথে আতাত সুনিশ্চয়

(১৯)
ঝাপিয়ে পড়িবে ‘তৃতীয় আলিফ’ এবং দু’জীম ঘারে
ছুড়িয়া মারিবে গজবী পাহাড় আনবিক হাতিয়ারে।

টীকা: প্রথম আলিফ= ইংল্যান্ড দ্বিতীয় আলিফ=আমেরিকা তৃতীয় আলিফ= ইটালি দুই জীম=জার্মানি ও জাপান

(প্যারা: ১৯- এর শেষ)
অতি ভয়াবহ নিষ্ঠুরতম ধ্বংসযজ্ঞ শেষে
প্রতারণা বলে প্রথম পক্ষ দাড়াবে বিজয়ী বেশে

(২০)
জগৎ জুড়িয়া ছয় সালব্যাপী এই রণে ভয়াবহ
হালাক হইবে অগিণত লোক ধন ও সম্পদসহ

টীকা: জাতিসংঘের হিসেব মতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি লোক মারা গিয়েছিল।

(প্যারা: ২১)
মহাধ্বংসের এ মহাসমর অবসানে অবশেষে
নাসারা শাসক ভারত ছাড়িয়া চলে যাবে নিজ দেশে
কিন্তু তাহারা চিরকাল তরে এদেশবাসীর মনে
মহাক্ষতিকর বিষাক্ত বীজ বুনে যাবে সেই সনে

টীকা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় ১৯৪৫ সালে, আর ভারত উপমহাদেশ থেকে নাসারা তথা ইংরেজ খ্রিস্টানরা চলে যায় ১৯৪৭ এ। এই প্যারার দ্বিতীয় অংশের ব্যাখ্যা দুই রকম আছে।
ক) এই অঞ্চলের বিভেদ তৈরী জন্য ইংরেজ খ্রিস্টানরা কাশ্মীরকে হিন্দুদের দিয়ে প্যাচ বাধিয়ে যায়।
খ) ইংরেজরা চলে গেলেও তাদের সংস্কৃতি এমনভাবে রেখে গেছে যে এই উপমহাদেশে লোকজন এখনও সব যায়গায় ব্রিটিশ নিয়ম-কানুন-ভাষা-সংস্কৃতি অনুসরণ করে।
** অনেকে এই ক্ষতিকর বিজ বলতে লা-মাযহাবী তথা আহলে হাদীস এবং কাদিয়ানী গোষ্ঠী মন্তব্য করেছেন।

(২২)
ভারত ভাঙ্গিয়া হইবে দু’ভাগ শঠতায় নেতাদের
মহাদুর্ভোগ দুর্দশা হবে দু’দেশেরি মানুষের

টীকা: দেশভাগের সময় মুসলমানরা আরো অনেক বেশি এলাকা পেত। কিন্তু সেই সময় অনেক মুসলমান নেতার গাদ্দারির কারণে অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা হিন্দুদের অধীনে চলে যায়। ফলে কষ্টে পরে সাধারণ মুসলমানরা। এখনও ভারতের মুসলমানরা সেই গাদ্দারির ফল ভোগ করছে।

(২৩)
মুকুটবিহীন নাদান বাদশা পাইবে শাসনভার
কানুন ও তার ফর্মান হবে আজেবাজে একছার

টীকা: এই প্যারা থেকে ভারত বিভাগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ধরা যায়। এই সময় এই অঞ্চলে মুসলমানদের ঝান্ডাবাহী কোন সরকার আসেনি।
**মুকুটবিহীন নাদান বাদশাহ বলতে অনেকে ‘গণতন্ত্র’কে বুঝিয়েছে। আব্রাহাম লিংকনের তৈরী গণতন্ত্রকে জনগণের তন্ত্র বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা হচ্ছে জন-নিপীড়নের তন্ত্র। এই গণতন্ত্রের নিয়ম কানুন যে আজেবাজে সে সম্পর্কে শেষ লাইনে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

(২৪)
দুর্নীতি ঘুষ কাজে অবহেলা নীতিহীনতার ফলে
শাহী ফর্মান হবে পয়মাল দেশ যাবে রসাতলে

টীকা: সমসাময়িক দুর্নীতি বুঝানো হয়েছে।

(২৫)
হায় আফসোস করিবেন যত আলেম ও জ্ঞানীগণ
মূর্খ বেকুফ নাদান লোকেরা করিবে আস্ফালন।

(২৬)
পেয়ারা নবীর উম্মতগণ ভুলিবে আপন শান
ঘোরতর পাপ পঙ্গিলতায় ডুবিবে মুসলমান

(২৭)
কালের চক্রে স্নেহ-তমীজের ঘটিবে যে অবসান
লুণ্ঠিত হবে মানী লোকদের ইজ্জত সম্মান

(২৮)
উঠিয়া যাইবে বাছ ও বিচার হালাল ও হারামের
লজ্জা রবে না, লুণ্ঠিত হবে ইজ্জত নারীদের

(২৯)
পশুর অধম হইবে তাহারা ভাই-বোনে, মা-বেটায়
জেনা ব্যাভিচারে হইবে লিপ্ত পিতা আর কন্যায়

(প্যারা: ৩০)
নগ্নতা আল অশ্লীলতায় ভরে যাবে সব গেহ
নারীরা উপরে সেজে রবে সতী ভেতরে বেচিবে দেহ

(৩১)
উপরে সাধুর লেবাস ভেতরে পাপের বেসাতি পুরা
নারী দেহ নিয়ে চালাবে ব্যবসা ইবলিস বন্ধুরা

(৩২)
নামায ও রোজা, হজ্জ্ব যাকাতের কমে যাবে আগ্রহ
ধর্মের কাজ মনে হবে বোঝা দারুন দুর্বিষহ

(৩৩)
কলিজার খুন পান করে বলি শোন হে বৎসগণ
খোদার ওয়াস্তে ভুলে যাও সব নাসারার আচরণ

(৩৪)
পশ্চিমা ঐ অশ্লীলতা ও নগ্নতা বেহায়ামি
ডোবাবে তোদের, খোদার কঠোর গজব আসিবে নামি

(৩৫)
ধ্বংস নিহত হবে মুসলিম বিধর্মীদের হাতে
হবে নাজেহাল, ছেড়ে যাবে দেশ ভাসিবে রক্তপাতে

(৩৬)
মুসলমানের জান-মাল হবে খেলনা- মুল্যহত
রক্ত তাদের প্রবাহিত হবে সাগর স্রােতের মত

(৩৭)
এরপর যাবে ভেগে নারকীরা পাঞ্জাব কেন্দ্রের
ধন সম্পদ আসিবে তাদের দখলে মুমিনদের

টীকা: এখানে পাঞ্জাব কেন্দ্রের বলতে কাশ্মীর মনে করা হয়।

(৩৮)
অনুরূপ হবে পতন একটি শহর মুমিনদের
তাহাদের ধনসম্পদ যাবে দখলে হিন্দুদের

টীকা: ১৯৪৮ সালে মুসলিম সুলতান নিজামের অধীনস্ত হায়দারাবাদ শহরটি দখল করে নেয় হিন্দুরা। সে সময় প্রায় ২ লক্ষ মুসলমানকে শহীদ করে মুশরিক হিন্দুরা, ১ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করে, হাজার হাজার মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। শুধু নিজামের প্রাসাদ থেকে নিয়ে যায় ৪ ট্রাক সোনা গয়না।
আর অনেকে বলেছেন এই শহর “আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ” অর্থাৎ মুসলমানরা কাশ্মীর জয় করার পর হিন্দুরা বাংলাদেশ দখল করবে।

(৩৯)
হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ সেখানে চালাইবে তারা ভারি
ঘরে ঘরে হবে ঘোর কারবালা ক্রন্দন আহাজারি

(৪০)
মুসলিম নেতা-অথচ বন্ধু কাফেরের তলে তলে
মদদ করিবে অরি কে সে এক পাপ চুক্তির ছলে

টীকা: বর্তমান সময়ে এই উপমহাদেশে এ ধরনের নেতার অভাব নেই। যারা উপর দিয়ে মুসলমানদের নেতা সেজে থাকে, কিন্তু ভেতর দিয়ে কাফিরদের এক নম্বর দালাল। সমগ্র ভারতে এর যথেষ্ট উদাহরণ আছে, উদাহরণ আছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও।

(৪১)
প্রথম অক্ষরেখায় থাকিবে শীনে’র অবস্থান
পঞ্চাশতম অক্ষরে থাকিবে নূন’ ও বিরাজমান
ঘটিবে তখন এসব ঘটনা মাঝখানে দু’ঈদের
ধিক্কার দিবে বিশ্বের লোক জালিম হিন্দুদের

টীকা: বর্তমানে এই সময়টি চলে এসেছে। হয়তোবা এখানে শেখ মুজিবুর রহমান অথবা শেখ হাসিনা এর কথা বলা হয়েছে। তবে ৫০তম অক্ষরের ব্যপারটি বলতে পারছিনা। যাই হোক! এতদিন হিন্দুরা তাদের মুসলিম নির্যাতনের ঘটনাগুলো লুকিয়ে রাখত। কিন্তু এখন আর লুকানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। এখন সবাই এই জালিম হিন্দুদের জঘণ্য অপকর্মের জন্য তাদের ধিক্কার দিচ্ছে।

(৪২)
মহরম মাসে হাতিয়ার হাতে পাইবে মুমিনগণ
ঝঞ্বারবেগে করিবে তাহারা পাল্টা আক্রমণ

(৪৩)
সৃষ্টি হইবে ভারত ব্যাপিয়া প্রচণ্ড আলোড়ন
‘উসমান’ এসে নিবে জেহাদের বজ্র কঠিন পণ

(৪৪)
‘সাহেবে কিরান-‘হাবীবুল্লাহ’ হাতে নিয়ে শমসের
খোদায়ী মদদে ঝাপিয়ে পড়িবে ময়দানে যুদ্ধে

টীকা: এখানে মুসলমানদের সেনাপতির কথা বলা হয়েছে। শনি ও বৃহস্পতিগ্রহ অথবা শুক্র ও বৃহস্পতি গ্রহের একই রৈখিক কোণে অবস্থানকালীন সময়ে যে যাতকের জন্ম অথবা এ সময়ে মাতৃগর্ভে যে যাতকের ভ্রুনের সঞ্চার ঘটে তাকে বলা হয় সাহেবে কিরান বা সৌভাগ্যবান। সেই মহান সেনাপতির নাম বা উপাধি হবে ‘হাবীবুল্লাহ’।

(৪৫)
কাপিবে মেদিনী সীমান্ত বীর গাজীদের পদভারে
ভারতের পানে আগাইবে তারা মহারণ হুঙ্কারে

টীকা: আক্রমণকারীরা ভারত উপমহাদেশের হিন্দু দখলকৃত এলাকার বাইরে থাকবে এবং হিন্দু দখলকৃত এলাকা দখল করতে হুঙ্কার দিয়ে এগিয়ে যাবে।

(৪৬)
পঙ্গপালের মত ধেয়ে এসে এসব ‘গাজীয়ে দ্বীন’
যুদ্ধে জিতিয়া বিজয় ঝাণ্ডা করিবেন উড্ডিন

(৪৭)
মিলে এক সাথে দক্ষিণী ফৌজ ইরানী ও আফগান
বিজয় করিয়া কবজায় পুরা আনিবে হিন্দুস্তান

টীকা: হিন্দুস্তান সম্পূর্ণরূপে মুসলমানদের দখলে আসবে।

(৪৮)
বরবাদ করে দেয়া হবে দ্বীন ঈমানের দুশমন
অঝোর ধারায় হবে আল্লা’র রহমাত বরিষান

(৪৯)
দ্বীনের বৈরী আছিল শুরুতে ছয় হরফেতে নাম
প্রথম হরফ গাফ সে কবুল করিবে দ্বীন ইসলাম

টীকা: ছয় অক্ষর বিশিষ্ট একটি নাম যার প্রথম অক্ষরটি হবে ‘গাফ’ এমন এক প্রভাবশালী হিন্দু ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম পক্ষে যোগদান করবেন। তিনি কে তা এখন বুঝা যাচ্ছে না।

(৫০)
আল্লা’র খাস রহমাতে হবে মুমিনেরা খোশদিল
হিন্দু রসুম-রেওয়াজ এ ভূমে থাকিবে না এক তিল

টীকা: ভারত বর্ষে হিন্দু ধর্ম তো দূরে হিন্দুদের কোন রসম রেওয়াজও থাকবে না। (সুবহানাল্লাহ)

(৫১)
ভারতের মত পশ্চিমাদেরও ঘটিবে বিপর্যয়
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে ঘটাইবে মহালয়

টীকা: বর্তমান সময়ে স্পষ্ট সেই তৃতীয় সমরের প্রস্তুতি চলছে। অর্থ্যাৎ সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মুসলমাদের বিরুদ্ধে কাফিররা যুদ্ধ করছে তথা জুলুম নির্যাতন করছে। এই জুলুম নির্যাতনই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে রুপ নিয়ে একসময় তাদের ধ্বংসের কারণ হবে। এখানে বলা হচ্ছে মহালয় বা কেয়ামত শুরু হবে যাতে পশ্চিমারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।

(৫২)
এ রণে হবে ‘আলিফ’ এরূপ পয়মাল মিসমার
মুছে যাবে দেশ, ইতিহাসে শুধু নামটি থাকিবে তার

টীকা: এ যুদ্ধের কারণে আলিফ = আমেরিকা এরূপ ধ্বংস হবে যে ইতিহাসে শুধু তার নাম থাকবে, কিন্তু বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব থাকবে না। বর্তমানে মুছে যাওয়ার আগাম বার্তা স্বরূপ দেশটিতে আমরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অর্থনৈতিক মন্দা চরমভাবে দেখতে পাচ্ছি।

(৫৩)
যত অপরাধ তিল তিল করে জমেছে খাতায় তার
শাস্তি উহার ভুগতেই হবে নাই নাই নিস্তার
কুদরতী হাতে কঠিন দণ্ড দেয়া হবে তাহাদের
ধরা বুকে শির তুলিয়া নাসারা দাড়াবে না কভু ফের

টীকা: এখানে স্পষ্ট যিনি এই শাস্তি দিবেন তা হবে কুদরতি হাতে। যদিও বা আল্লাহ তায়ালার ক্ষেত্রে কুদরত, নবী রাসূলের ক্ষেত্রে মুজিজা, এবং ওলী আল্লাহ গণের ক্ষেত্রে কারামত শব্দ ব্যাবহৃত হয়। এখানে কাফিরদের শাস্তি কোন ওলী আল্লাহ কারামতের মাধ্যমেই দিবেন এটাই বুঝান হয়েছে। এই শাস্তির কারণে নাসারা বা খ্রিস্টানরা আর কখনই মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না।

(৫৪)
যেই বেঈমান দুনিয়া ধ্বংস করিল আপন কামে
নিপাতিত শেষকালে সে নিজেই জাহান্নামে

(৫৫)
রহস্যভেদী যে রতন হার গাথিলাম আমি তা – – যে
গায়েবী মদদ লভিতে, আসিবে উস্তাদসম কাজে।

(৫৬)
অতিসত্বর যদি আল্লা’র মদদ পাইতে চাও
তাহার হুকুম তালিমের কাজে নিজেকে বিলিয়ে দাও

টীকাঃ বর্তমানে সমস্ত ফিতনা হতে হিফাজত হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে সমস্ত হারাম কাজ থেকে খাস তওবা করা। সেটা হারাম আমল হোক কিংবা কাফের মুশরিক প্রনিত বিভিন্ন নিয়ম কানুন হোক।

(৫৭)
‘কানা জাহুকার’ প্রকাশ ঘটার সালেই প্রতিশ্রুত
ইমাম মাহাদি দুনিয়ার বুকে হবেন আবির্ভূত

টীকাঃ ‘কানা জাহুকার’ সূরা বনী ইসরাইলের ৮১ নং আয়াতের শেষ অংশ। যার অর্থ মিথ্যার বিনাশ অনিবার্য। পূর্ব আয়াতটির অর্থ ‘সত্য সমাগত মিথ্যা বিলুপ্ত’। অর্থাৎ যখন মিথ্যার বিনাশ কাল উপস্থিত হবে তখন উপযুক্ত সময়েই আবির্ভূত হবেন ‘মাহদী’ বা ‘পথ প্রদর্শক’। উনার আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে বাতিল ধ্বংস হবে।

(৫৮)
চুপ হয়ে যাও ওহে নেয়ামত এগিও না মোটে আর
ফাঁস করিও না খোদার গায়বী রহস্য — আসরার
এ কাসিদা বলা করিলাম শেষ ‘কুনুত কানয’ সালে
(অদ্ভুত এই রহস্য গাঁথা ফলিতেছে কালে কালে)

টীকাঃ ‘কুনুত কানয সাল’ অর্থাৎ হিজরি সন ৫৪৮ মোতাবেক ১১৫৮ ইংরেজি সাল হচ্ছে এ কাসিদার রচনা কাল। এটা আরবি হরফের নাম অনুযায়ী সাংকেতিক হিসাব।

Kyo Arabic! এখন আরবী লেখুন অভ্র কিবোর্ড দিয়ে ফোনেটিক স্টাইলে!!

আলহামদুলিল্লাহ! ফোনেটিক স্টাইলে আরবী লেখার জন্য অভ্র কিবোর্ডের নতুন একটি লেয়াউট এখন আপনাদের সামনে উপস্থিত!

আরবী বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা সমূহের একটি। তার ওপর মুসলিম হিসেবে আমাদের নিকট আরবী ভাষার রয়েছে বিশেষ একটি অবস্থান।ব্লগ-ফেসবুকে লেখালেখি কিংবা সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধানের কাজে আরবী লেখা বর্তমান বিশ্বের ইন্টারনেট ইউজারদের কাছে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় একটা বিষয়। সমগ্র ইন্টারনেট বিশ্বের কথা বাদ দিয়ে শুধু বাংলাদেশের দিকে খেয়াল করলেও দেখা যাব এদেশে ইসলামিক মাইন্ডের তরুণদের মাঝে এর প্রয়োজন অপরিসীম। প্রায়শই আমাদের আরবী লেখার দরকার পড়ে। এছাড়া এটি প্রয়োজন পড়তে পারে মাদারাসা স্কুল কলেজ অথবা ভার্সিটির দপ্তরে শিক্ষকমণ্ডলীর প্রশ্নপত্র তৈরির কাজে। আর অনেকের মত যদি আপনিও অনলাইনকে দাওয়াহ ইলাল্লাহ-এর একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়ে থাকেন তবে আপনার সুবিধার্থে এই কি-লেয়াউট হতে পারে সর্বক্ষনের সঙ্গী।

Kyo Arabic…!

ক’দিন আগে পিসিতে আরবী লেখা নিয়ে বেশ পেরেশানিতে ছিলাম। উইন্ডোজের ডিফল্ট আরবী লেয়াউট থাকলেও সেটা দিয়ে লেখা বেশ দুঃসাধ্য। অনলাইনে বেশ কিছু আরবি লেখার সফটওয়ার কিংবা লেয়াউট পেলেও মনের মত একটাও হচ্ছিল না। হঠাৎ খুঁজতে খুঁজতে সেদিন Arabic-91 নামে একটা মিশরীয় আরবীর কিবোর্ড লেয়াউট পেলাম, যেটাকে একদম ইংলিশ টু এ্যারাবিক বলা যায় না। আবার না বলাও যায় না। সত্য বলতে কি! arab-key.com এর Arabic-91 লেয়াউট থেকে উৎসাহী হয়েই এই অভ্র লেয়াউটটি ডিজাইন করা হয়েছে।

আশা করছি ছোট্ট এই প্রচেষ্টা আপনাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে।

জানিয়ে রাখা ভালোঃ উইন্ডোজে আরবি লেখার জন্য আপনাকে আলাদা কোনো ফন্ট সেটআপ দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না, মাইক্রোসফটের বিখ্যাত Times New Roman অথবা Traditional Arabic দিয়েই আপনি নিশ্চিন্তে আরবী লেখতে পারবেন। এছাড়া আরও স্টাইলিশ আরবী ফন্ট এর প্রয়োজনে অনুগ্রহ পুর্বক কোনো সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তা নিন।

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ-

১. প্রথমে Kyo Arabic.avrolayout ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।
Download Link: https://www.dropbox.com/s/g2bigge2l2kfosk/Kyo%20Arabic.avrolayout

Download link 2: http://www.mediafire.com/download/9ynl5x67mdxym15/Kyo+Arabic.avrolayout

.২. ডাবল ক্লিক করে ইন্সটল দিন। কোনো এ্যাকসেস পারমিশন চাইলে সম্মতি দিন।

৩. আপনার পিসি রিস্টার্ট দিন। অথবা শুধু অভ্রু কিবোর্ড Exit বাটনে চেপে একদম ক্লোজ করে পুনরায় চালু করুন।

৪. লেয়াউট লিস্ট থেকে English to Bangla এর পরিবর্তে Kyo Arabic সিলেক্ট করুন।

3d1624c105ee1e54.png

ex: Select from Avro top bar

ex: Select from system tray icon

৫. আপনি এখন আরবি লেখার জন্য প্রস্তুত…..

এখন যেকোনো যায়গায় অভ্রুর স্টাইলে আরবি লিখুন, যেমনঃ a তে ‘আলিফ’ b তে ‘বা’ t তে ‘তা’ s এ ‘সিন’প্রয়োজনে Show active keyboard layout থেকে কি-ম্যাপ দেখে নিন।

ex: kyo arabic beta 1.1 version preview

৬. এবার নিশ্চিন্তে আরবী লেখুন…।

.

কোনো পরামর্শ অথবা জিজ্ঞাসা থাকলে অনুগ্রহ পুর্বক আমাকে অবহিত করুন…

ফেসবুকে আমিঃ http://facebook.com/thealmahmud

আছি টুইটারেঃ http://twitter.com/abalmahmud

ইসলামী গ্রন্থের বিরাট এক সম্ভারঃ আল জাওয়ামিউল কালীম

আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি এক বিশাল ইসলামী গ্রন্থাগারের সাথে, মাকতাবায়ে শামেলা এখন বেশ জনপ্রিয় একটি বুক রিডার সফটওয়ার কিন্তু আজ যেটির কথা বলছি সেটা মোর দ্যান মাকতাবায়ে শামেলা! যদিও এটা মাকতাবায়ে শামেলার চেয়ে অনেক পুরাতন তবুও এদেশে এটি তেমন পরিচিতি পায়নি।

কুরআন, হাদীস, তাফসীরে কোরআন, তাশরীহে হাদীস, উলুমে হাদীস, উলুমে কোরআন, আক্বাইদ, ফিক্বাহ (৪ ফিক্বহি মাযহাবের আলাদা আলাদা এবং সম্মিলিত সংকলন), ইতিহাস, সিরাত, রাজনীতি সহ আরো বিভিন্ন শাস্ত্রের অসংখ্য কিতাবের বিরাট এক সম্ভার এই জাওয়ামিউল কালীম। মাকতাবায়ে শামেলা আর জাওয়ামিউল কালীমের একটা বিশেষ পার্থক্য হচ্ছে মাকতাবায়ে শামেলাতে 'ফিতনায়ে সালাফিয়্যা'র প্রভাব বিস্তর পক্ষান্তরে জাওয়ামিউল কালীম এধরনের অভিযোগ-আপত্তি থেকে নিরাপদ। আর এর ব্যাবহারও শামেলার চেয়ে বেশ সহজবোধ্য। এতে রয়েছে মুল বইয়ের পৃষ্ঠা নাম্বার সংকেত অর্থাত্‍ যেখান থেকে মুল কিতাবের পৃষ্ঠা শেষ হয়েছে সেখানে বন্ধনিতে পৃষ্ঠা নাম্বার সংযুক্ত করা হয়েছে। আরো বড় কথা হচ্ছে এর রয়েছে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ভার্শন।
সব মিলিয়ে জাওয়ামিউল কালীম অসাধারন একটি ভার্চুয়াল ইসলামিক লাইব্রেরী যা আপনার ভালো লাগবেই।

বিবরনঃ

নামঃ জাওয়ামিউল কালিম
প্রকাশকঃ islamweb.net
ভার্শনঃ অনলাইন ওয়েবপেজ এবং অফলাইন পিসি সফটওয়্যার

ওয়েবপেজ লিংকঃ http://bit.do/gkonline

ডাউনলোড লিংকঃ http://gk.islamweb.net:8080

আজ এপর্যন্তই, আল্লাহ হাফেজ

ফেসবুকের নাম পরিবর্তন বিড়ম্বনা? সমাধান নিন..

অনেক আগের কাহিনী.. হয়তো এখনো কাজ করবে…

আসসালামুআলাইকুম,
অনেকদিন ধরে টিউন লেখবো লেখবো করে হয়ইনা, তাও লেখতে বসে গেলাম… আসা করছি সবাই ভাল আছেন, আর কথা না বাড়িয়ে মুল টিউনে চলুন।
আজ যেটি নিয়ে আলোচনা করছি এই ব্যাপারে হয়তো কয়েকজন লেখেছে, কিন্তু আমি আরেকটু সহজভাবে লেখতে চাচ্ছি।
আমরা জানি ফেসবুকে সাধারনত ৬০দিনের আগে নাম পরিবর্তন করা যায়না, কিন্তু প্রয়োজন হলে কি করবেন??
হুম.. সমস্যা থাকলে এর সমাধানও আছে।
তাহলে চলুন জেনে নেই নাম পরিবর্তনের লিমিট পার হলে এরপর কিভাবে নাম পাল্টাবেন..। 🙂

১.পিসি ইউজাররা এই লিংকে যান : https://www.facebook.com/help/contact/?id=245617802141709

আর মোবাইল হলে এই লিংকে: https://m.facebook.com/help/contact/245617802141709

২. এবার একটা ফর্ম আসবে সেখানে New first name, New middle name, New last name এর ঘরগুলোতে আপনার পছন্দ অনুযায়ী নতুন নাম লিখুন।
৩. এরপর reason for change বক্সে আপনার নাম পরিবর্তন করার কারন সিলেক্ট করুন।
৪.Your ID বক্সে আপনার যেকোনো ফটো আইডি কার্ড স্কান করে আপলোড করে দিন।
যদি স্ক্যানার না থাকে তাহলে ?
আরে ভাই যা খুশি আপলোড দেন তো ! 😮
যেমন, আপনার প্রোফাইলের পিকচারটা আপলোড দিতে পারেন। 😀
৫.এবার “Send” বাটনে ক্লিক করুন। *আশা করা যায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনার নাম পরিবর্তন হয়ে যাবে। 🙂
আজ এই পর্যন্তই ।
আল্লাহ হাফেজ

ফেসবুকের সব রিকুয়েষ্ট কনফার্ম করুন একসাথে

ফেসবুকে অনেক জমা হয়ে গেলে দিয়ে একটা একটা করে রিকু Accept করা বিরক্তিকর ব্যাপার….
আপনি এই পদ্ধতিটা অনুসরণ করে একসাথে ৫০ টা রিকুয়েষ্ট কনফার্ম করতে পারবেন ।
তাহলে চলুন শুরু করি..
** যা যা লাগবেঃ
১. কিছু পেন্ডিং রিকুয়েস্ট।
২. পিসিতে গুগল ক্রোম অথবা ফায়ারফক্স আর মোবাইলে অপেরার 4.0+ যে কোন ভার্সন।
download1-75x75.jpg
** যা যা করতে হবেঃ
১.(মোবাইল হলে) শুরতে নিচের মত আপনার অপেরা মিনির বুকমার্ক লিস্টে একটা নতুন বুকমার্ক যোগ করুন।

টাইটেলে লিখুন: Accept All Friend Request
এড্রেস লিখুন:
javascript: var field=document.getElementsByName(“actions[accept]”); for(i=0; i< field.length; i++)field.click();

লক্ষনিয়ঃ এখানে কোডটির “i<” এবং “f” এর মাঝের স্পেসটি মুছে দিন।
মুল কোডটির কপি-পেষ্ট লিংক: http://pastebin.com/zhpi9B9i

এখন যে একাউন্টে রিকু Accept করবেন এই একাউন্টে লগইন করে এই লিংকে যান। http://facebook.com/reqs.php
পেজ ওপেন হলে অপেরা মিনির বুকমার্ক লিষ্ট থেকে একটু আগে তৈরি করা Accept All Friend Request বুকমার্কটি ওপেন করুন,

(আর পিসি হলে শুধু এই লিংকে যান http://facebook.com/reqs.php আর এড্রেসবারে উপরে দেয়া কোডটি লিখে এন্টার করুন।)

কিছুক্ষন লোডিং হওয়ার পর রিকুয়েষ্ট কনফার্ম হয়ে যাবে অথবা ফাকা পেজ আসবে। এখন আপনার একাউন্টে ঢুকে চেক করে দেখুন ৫০ টা রিকুয়েষ্ট কমে গেছে….

বোনাস টিপসঃ হুবহু একই ভাবে আপনি আপনার গ্রুপের মেম্বারদের জয়েন রিকুয়েস্টএক্সেপ্ট করতে পারবেন।
~সংগৃহিত

Dot.TK ডোমেইন ফ্রিতে নিন আজীবন মেয়াদের জন্য…

..এসব অনেক আগের গল্প, এখন আর এই ট্রিক্স কাজ করেনা

আসসালামু আলাইকুম, আজ আমরা একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
আমরা সবাই মোটামুটি ডটটিকে ডোমেইনের সাথে পরিচিত, ফ্রি ডোমেইনের ভিতর বর্তমানে এটিই সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত হচ্ছে।
যাদের পক্ষে পেইড ডোমেইন কিনে ওয়েব সাইট তৈরি সম্ভব না তাদের ডটটিকেই ভরসা।
কিন্তু যতই হোক ফ্রি তো?
১ বছর পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে সাধের ডোমেইনের, ফলে আমরা হারাচ্ছি ভিজিটর। নতুন ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করলেও এই ঘাটতি আর কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়ে উঠছেনা।
আচ্ছা যদি এই ডোমেইনটি আজীবন মেয়াদের জন্য পাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়?
আর কথা না বাড়িয়ে চলুন সেটাই শিখে নেই।

১. প্রথমে এই লিংকে dottk.wap.sh যান
২. এবার যেকোনো এক্সটিজেম অথবা ওয়াপকা সাইটের লিঙ্ক দিয়ে নেক্সট করুন,
৩. এবার আপনার পছন্দের DoT.TK ডোমেইনটি লিখে নেক্সট করুন, যদি সেটি খালি না থাকে তাহলে অন্য নাম দিয়ে চেষ্টা করুন,
৪. আপনার ই-মেইল অ্যাডড্রেস লিখুন,

লক্ষনীয়: আজীবন মেয়াদের ডোমেইন পেতে একটি ই-মেইল একবারই ব্যাবহার করতে পারবেন।
(একটি জিমেইল আইডি দিয়ে যত খুশি ই-মেইল আইডি বানানোর পদ্ধতি জানতে এই লিঙ্কের পোস্টটি দেখুন)

৫. এবার my.dot.tk তে ঢুকে লগিন এর জায়গায় শুধু ইমেইল দিয়ে নিচের “Resend new registration email” এ ক্লিক করুন
৬. এবার আপনার ই-মেইল ইনবক্সে দেখুন ২টি নতুন ই-মেইল এসেছে, তার ভিতর ২য় টি অর্থাৎ যেটি পরে এসেছে সেটি ফলো করে ই-মেইল ভেরিফাই করে নিন।
৭. এবার আপনার ই-মেইল আর কফার্মেশন মেইলে পাওয়া পাসওয়ার্ড দিয়ে ওই পেজের নিচে থাকা লগিন বক্স থেকেই লগিন করুন।

অভিনন্দন্দন! আপনি সফল হয়েছেন।

এবার নিজের মতো ডোমেইন প্যানেলে গিয়ে url forwarding, dns অথবা A pointing সিস্টেমে ডোমেইন সেটআপ করে নিন।

আর উপভোগ করুন আজীবন মেয়াদের DoT.TK ডোমেইন।
..আরো কিছু জানার থাকলে এখানেই কমেন্ট করুন..

সবশেষে আমাদের নতুন সাইট LifeBD24.COM টি বুকমার্ক করে রাখার আর নিয়মিত ভিজিট করার দাবি রেখে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।

আল্লাহ হাফেজ